যোগাযোগ করুন

০১৯৮৮৮৯৯৯৩৬

শনিবার -শুক্রবার

সকাল ৯টা - রাত ৯টা

ডায়াবেটিস হলে সহবাস করা যায় কিনা এবং এটি হলে কি করতে হবে?

ডায়াবেটিস হলে সহবাস করা যায় কিনা এবং এটি হলে কি করতে হবে?

ডায়াবেটিস একটি জটিল রোগ যা আমাদের শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মনে প্রশ্ন জাগে যে এই রোগ তাদের যৌন জীবনকে কিভাবে প্রভাবিত করবে। ডায়াবেটিস হলে সহবাস করা যায় কিনা এবং এটি হলে কি করতে হবে? এই প্রশ্নটি অনেকের মনেই ঘুরপাক খায়। এই ব্লগ পোস্টে আমরা ডায়াবেটিসের কারণে যৌন জীবনে কী কী পরিবর্তন আসতে পারে এবং এই পরিস্থিতিতে সুস্থ ও স্বাভাবিক যৌন জীবন বজায় রাখার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ডায়াবেটিস হলে কি হয়?

ডায়াবেটিস হলে কি হয়?

ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদী বিপাকীয় রোগ, যা শরীরে ইনসুলিন হরমোনের অভাব অথবা ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়। ইনসুলিন, যা অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ থেকে নিঃসরিত হয়, রক্তে উপস্থিত গ্লুকোজকে শরীরের বিভিন্ন কোষের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে। যখন ডায়াবেটিস হয়, তখন এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এর ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে, যা হাইপারগ্লাইসেমিয়া নামে পরিচিত। দীর্ঘস্থায়ী হাইপারগ্লাইসেমিয়া শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

ডায়াবেটিস হলে কি হয়, তা বুঝতে হলে এর প্রকারভেদ এবং শরীরের ওপর তাদের প্রভাব সম্পর্কে জানা জরুরি। প্রধানত ডায়াবেটিস দুই ধরনের: টাইপ ১ এবং টাইপ ২। টাইপ ১ ডায়াবেটিসে, অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যায়, ফলে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না। এটি সাধারণত অটোইমিউন প্রতিক্রিয়ার কারণে ঘটে এবং এর জন্য ইনসুলিন ইনজেকশনের মাধ্যমে বাইরে থেকে সরবরাহ করা অপরিহার্য। অন্যদিকে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসে শরীর যথেষ্ট ইনসুলিন উৎপাদন করলেও কোষগুলো সেই ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা হারিয়ে ফেলে (ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স), অথবা অগ্ন্যাশয় যথেষ্ট পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না। টাইপ ২ ডায়াবেটিস সাধারণত জীবনযাত্রা এবং জিনগত কারণের সংমিশ্রণে হয়ে থাকে। এছাড়াও, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস) গর্ভাবস্থায় দেখা দিতে পারে এবং এটি প্রসবের পর সাধারণত সেরে যায়, তবে মায়ের ভবিষ্যতে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

ডায়াবেটিস হলে কি হয়, তার তাৎক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবগুলো বহুমুখী। প্রাথমিকভাবে, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অত্যাধিক তৃষ্ণা লাগা (পলিডিপসিয়া), ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া (পলিউরিয়া), অস্বাভাবিক ক্ষুধা বৃদ্ধি (পলিফ্যাজিয়া), এবং কোনো কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া। এছাড়াও, ক্লান্তি ও দুর্বলতা, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া এবং সহজে সংক্রমণ হওয়ার প্রবণতাও দেখা দিতে পারে। প্রস্রাবে বা শ্বাস-প্রশ্বাসে মিষ্টি গন্ধও ডায়াবেটিসের একটি লক্ষণ হতে পারে। মেয়েদের ক্ষেত্রে ক্যান্ডিডা নামক ছত্রাকের সংক্রমণের কারণে যৌনাঙ্গে চুলকানি হতে পারে। অনেক সময়, বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে, এই লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ পায় এবং শুরুতে তেমন তীব্র নাও হতে পারে, যার ফলে রোগ নির্ণয় বিলম্বিত হতে পারে।

দীর্ঘমেয়াদী পর্যায়ে, ডায়াবেটিস শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। রক্তে দীর্ঘকাল ধরে উচ্চ মাত্রার গ্লুকোজ থাকার কারণে রক্তনালী এবং স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। এর ফলস্বরূপ, চোখের রেটিনায় রক্তক্ষরণ হতে পারে (ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি), যা অন্ধত্বের কারণ হতে পারে। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে (ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি), যা শেষ পর্যায়ে কিডনি বিকলতার দিকে ধাবিত করতে পারে এবং ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হতে পারে। স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে (ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি) হাত-পায়ে অসাড়তা, ঝিনঝিন করা বা ব্যথা অনুভূত হতে পারে এবং এটি আলসার বা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়, এমনকি অঙ্গচ্ছেদেরও প্রয়োজন হতে পারে। হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও ডায়াবেটিসে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের অস্বাভাবিক মাত্রাও ডায়াবেটিসের সাথে সম্পর্কিত এবং হৃদরোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে। দাঁতের মাড়ির রোগ এবং অন্যান্য সংক্রমণও ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

ডায়াবেটিস হলে কিভাবে বুঝব?

ডায়াবেটিস হলে কিভাবে বুঝব?

ডায়াবেটিস উপসর্গ কি কি?

  • অস্বাভাবিক ওজন কমে যাওয়া
  • দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি বা অবসাদ
  • চোখে ঝাপসা দেখা
  • অতিরিক্ত তৃষ্ণার অনুভূতি
  • ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া

ডায়াবেটিস হলে কিভাবে বুঝব? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে প্রথমে লক্ষণগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সাধারণত ডায়াবেটিস হলে শরীর দ্রুত ওজন হারাতে পারে, এমনকি ডায়েট বা ব্যায়াম ছাড়াই। অনবরত ক্লান্তি, চোখে ঝাপসা দেখা, অতিরিক্ত তৃষ্ণা অনুভব করা এবং ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া। এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে ডায়াবেটিস হলে কিভাবে বুঝব? প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়। অনেক সময় শরীরে ক্ষত হলে তা সহজে শুকায় না, চামড়া শুষ্ক বা চুলকানিও হতে পারে। এসব লক্ষণ দীর্ঘদিন অব্যাহত থাকলে অবশ্যই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত।

বাংলাদেশে অনেক মানুষ ডায়াবেটিস হলে কিভাবে বুঝব? এই বিষয়ে সচেতন নন এবং উপসর্গগুলো উপেক্ষা করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস আছে, তাদের ঝুঁকি বেশি। তাই বছরে অন্তত একবার রক্তে শর্করার পরীক্ষা করানো জরুরি। ডায়াবেটিস হলে কিভাবে বুঝব? এর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হলো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করানো এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।

ডায়াবেটিস হলে কি করতে হবে?

ডায়াবেটিস হলে কি করতে হবে?

ডায়াবেটিস হলে কি করতে হবে? প্রথমত, নিয়মিত জীবনযাপন ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। ডায়াবেটিস হলে কি করতে হবে জানতে চাইলে চিকিৎসকরা বলেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া, আঁশযুক্ত শস্য, শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া, ফাস্টফুড ও মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করা, এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করা, ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা, এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস হলে কি করতে হবে এ প্রশ্নের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উত্তর হলো, নিয়মিত রক্তের গ্লুকোজ, লিপিড ও রক্তচাপ পরীক্ষা করা এবং ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ ও জীবনযাপনের পরিবর্তন আনা। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ পরিবর্তন করা যাবে না এবং কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ দুটোই সম্ভব সঠিক সচেতনতা ও জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে। তাই, ডায়াবেটিস হলে কি করতে হবে এ প্রশ্নের উত্তর হলো, সচেতনতা, নিয়মিত পরীক্ষা, স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তোলা।

ডায়াবেটিস হলে সহবাস করা যায় কিনা?

ডায়াবেটিস হলে সহবাস করা যায় কিনা?

অনেকেই মনে মনে একটা প্রশ্ন রাখেন, কিন্তু মুখে বলতে দ্বিধা বোধ করেন যে ডায়াবেটিস হলে সহবাস করা যায় কিনা? এই প্রশ্নের পেছনে লুকিয়ে থাকে উদ্বেগ, লজ্জা আর সম্পর্কের টানাপোড়েন। বাস্তবতা হলো, ডায়াবেটিস শরীরের স্নায়ু, রক্তপ্রবাহ ও হরমোনের উপর প্রভাব ফেলে, যার ফলে পুরুষদের ক্ষেত্রে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন, যৌন ইচ্ছার হ্রাস, এমনকি বীর্যপাতের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকলে এই সমস্যাগুলো আরও প্রকট হয়। তবে এক্ষেত্রে হতাশ না হয়ে সমস্যাগুলো বুঝে নেওয়া, এবং যথাসময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু সুসংবাদ হলো, ডায়াবেটিস থাকলেও সঠিক চিকিৎসা, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, ব্যায়াম এবং নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করার মাধ্যমে একদম স্বাভাবিক যৌন জীবন সম্ভব। গবেষণা এবং চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে যৌন সক্ষমতা বজায় রাখা যায় এবং দাম্পত্য জীবনে কোনো বড় বাধা আসে না। তাই ডায়াবেটিস হলে সহবাস করা যায় কিনা এই প্রশ্নের উত্তর খুব স্পষ্টঃ হ্যাঁ, তবে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ থাকা শর্ত। যৌনতা কেবল শারীরিক ব্যাপার নয়, এটি মানসিকভাবে সঙ্গীর সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার একটি বড় উপায়। তাই একে উপেক্ষা না করে, সচেতনতার সঙ্গে আগানো উচিত।

যদি কখনও যৌনজীবনে সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা জরুরি। অনেক সময় সহজ কিছু চিকিৎসা, হরমোনের পরীক্ষা বা জীবনধারার সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে এই সমস্যা সহজেই সমাধান করা যায়। ভুল ধারণা নয়, সচেতনতা হোক আমাদের শক্তি। তাই আবারও বলা ডায়াবেটিস হলে সহবাস করা যায় কিনা, এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে হলে খোলামেলা কথা বলা, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং নিজের যত্ন নেওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

 

বিস্তারিত জানুন: স্বামীর ডায়াবেটিস থাকলে কি স্ত্রীর হয়

বিস্তারিত জানুন: টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর পার্থক্য

বিস্তারিত জানুন: ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা

সাধারণ জিজ্ঞাসা

গবেষণায় দেখা গেছে, যদি কোনও ব্যক্তির জীবনসঙ্গী অর্থাৎ স্বামী বা স্ত্রীর টাইপ ২ ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে তার নিজের টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ২৬ শতাংশ বেড়ে যায়। মন্ট্রিলের ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি হেলথ সেন্টারের (MUHC) একদল গবেষক একাধিক গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করে এই ফলাফলে পৌঁছেছেন। তাঁদের মতে, স্বামী বা স্ত্রীর ডায়াবেটিস থাকা একজন ব্যক্তির ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে, যা দাম্পত্য জীবনের স্বাস্থ্যগত প্রভাবক হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।

শুক্রাণুর সঠিকভাবে কাজ করতে পুষ্টির দরকার হয়, কারণ তাদের একটি দীর্ঘ ও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয় এবং যোনির কঠিন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। বীর্যের ভেতরে থাকা পুষ্টিগুলো শুক্রাণুকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে এবং ডিম্বাণুর দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় শক্তি জোগায়। এদের প্রধান শক্তির উৎস হলো ফ্রুক্টোজ, যা এক ধরনের প্রাকৃতিক চিনি।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অনেক মানুষই স্বাভাবিক ও পূর্ণ জীবন যাপন করে থাকেন। ডায়াবেটিসকে জীবনযাত্রার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে দিতে হয় না। তবে একে নিয়ন্ত্রণে না রাখলে এটি আপনার দৈনন্দিন অভ্যাসে প্রভাব ফেলতে পারে—যেমন কী খাবেন, কীভাবে শরীর সুস্থ রাখবেন, ইত্যাদি। এমনকি ডায়াবেটিসের প্রভাব কাজের দক্ষতা ও যৌন জীবনেও পড়তে পারে।

জীবনযাত্রার ধরন অনেক সময় শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে। যেমন ধূমপান, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান কিংবা কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ সেবনের ফলে শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যেতে পারে। এছাড়াও, দীর্ঘমেয়াদী কোনো অসুস্থতা (যেমনঃ কিডনি ফেইলিউর), শৈশবে হওয়া সংক্রমণ (যেমনঃ মাম্পস), বা জেনেটিক ও হরমোনজনিত সমস্যা (যেমনঃ টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যাওয়া) শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top