ডায়াবেটিস একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা, যা সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে। এই রোগের প্রধান দুটি ধরন হলো টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস। যদিও উভয় প্রকার ডায়াবেটিসেই রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তবে তাদের কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। এই ব্লগ পোস্টে, আমরা টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর পার্থক্য, তাদের লক্ষণ এবং চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস কি?
টাইপ ২ ডায়াবেটিস কি? এটি তখন হয় যখন শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা শরীরের কোষগুলো ইনসুলিনের প্রতি সঠিকভাবে সাড়া দেয় না, ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। সাধারণত এটি বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে এখন কম বয়সীদের মধ্যেও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ছে। টাইপ ২ ডায়াবেটিস কি শুধুমাত্র খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারার কারণে হয়? না, এটি বংশগত কারণেও হতে পারে। অন্যদিকে, টাইপ ১ ডায়াবেটিস কি? এটি তখন হয় যখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভুলবশত অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ ধ্বংস করে, ফলে ইনসুলিন উৎপাদন একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস কি শিশুরাও আক্রান্ত হতে পারে? হ্যাঁ, সাধারণত এটি ছোটবেলায় ধরা পড়ে এবং রোগীকে আজীবন ইনসুলিন নিতে হয়।
টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ কিছুটা মিল থাকলেও রোগের প্রকৃতি সম্পূর্ণ আলাদা। টাইপ ২ ডায়াবেটিস কি বিপজ্জনক? হ্যাঁ, এটি চোখ, কিডনি, হৃদযন্ত্রসহ শরীরের নানা অঙ্গের ক্ষতির কারণ হতে পারে। টাইপ ১ ডায়াবেটিস কি আরও ঝুঁকিপূর্ণ? যেহেতু এটি সম্পূর্ণ ইনসুলিনের ঘাটতির কারণে হয়, তাই টাইপ ১ ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন ইনসুলিন ইনজেকশন নিতে হয়, অন্যথায় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
টাইপ ১ ডায়াবেটিস কেন হয়?
টাইপ ১ ডায়াবেটিস (T1D), যা আগে কিশোর ডায়াবেটিস নামে পরিচিত ছিল, মূলত একটি অটোইমিউন রোগ। এ ক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভুলবশত অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষগুলিকে ধ্বংস করে ফেলে, যার ফলে ইনসুলিন উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। অথচ সুস্থ ব্যক্তির দেহে এই বিটা কোষগুলো ইনসুলিন উৎপাদন করে, যা শরীরের রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রেখে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে। ইনসুলিনের অভাবে শরীরের কোষগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্লুকোজ গ্রহণ করতে পারে না, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। যদিও টাইপ ১ ডায়াবেটিস কেন হয় তার সঠিক কারণ এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি, তবে গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি মূলত জিনগত প্রবণতা এবং পরিবেশগত কিছু উপাদানের কারণে হতে পারে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস কেন হয়?
টাইপ ২ ডায়াবেটিস (T2D), যা আগে প্রাপ্তবয়স্কদের ডায়াবেটিস নামে পরিচিত ছিল, এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীরের ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং অগ্ন্যাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয়ে যায়। সাধারণত অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, স্থূলতা, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা এবং বংশগত কারণ টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য দায়ী হতে পারে। বর্তমানে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণে তরুণদের মধ্যেও এই রোগের প্রবণতা বাড়ছে। ইনসুলিনের আপেক্ষিক ঘাটতির কারণে শরীরের কোষগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্লুকোজ গ্রহণ করতে পারে না, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে নানা জটিলতার সৃষ্টি করে।
টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর লক্ষণ
টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ কিছু ক্ষেত্রে মিল থাকলেও, তাদের প্রকাশের ধরণ ও তীব্রতা ভিন্ন হতে পারে। টাইপ ১ ডায়াবেটিসের লক্ষণ সাধারণত হঠাৎ করেই দেখা দেয় এবং দ্রুত গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। এর মধ্যে অতিরিক্ত তৃষ্ণা অনুভব করা, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, অস্বাভাবিক ক্ষুধাবোধ, ওজন কমে যাওয়া এবং চরম ক্লান্তিভাব অন্যতম। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীরা দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, শরীরে সংক্রমণ সহজে না সারা, এবং হাত-পা অবশ বা ঝিনঝিন অনুভব করার সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। শিশুদের মধ্যে আচরণগত পরিবর্তন, যেমন খিটখিটে মেজাজ বা শক্তিহীনতা, টাইপ ১ ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। ইনসুলিনের অভাবে শরীর পর্যাপ্ত শক্তি উৎপাদন করতে পারে না, যার ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দীর্ঘমেয়াদে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে।
অন্যদিকে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ ধীরে ধীরে প্রকাশ পায় এবং অনেক সময় রোগীরা শুরুতে তা বুঝতেই পারেন না। এর মধ্যে অতিরিক্ত তৃষ্ণা, ঘন ঘন প্রস্রাব, অবসাদ বা দুর্বলতা, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া এবং বারবার সংক্রমণ হওয়া অন্যতম। কিছু ক্ষেত্রে হাত-পায়ে ঝিনঝিন করা বা অবশভাবও দেখা যায়, যা স্নায়ুর ক্ষতির লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময় ওজন বেড়ে যাওয়া বা অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়া এবং শরীরে শক্তির অভাব অনুভূত হতে পারে। যেহেতু টাইপ ২ ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে দেখা দেয়, অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে অজান্তেই এই রোগ বহন করেন, যা পরবর্তীতে হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা ও অন্যান্য জটিলতার কারণ হতে পারে।
টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর পার্থক্য
টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই দুই ধরনের ডায়াবেটিসের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা পদ্ধতি এবং প্রতিরোধের উপায় ভিন্ন। টাইপ ১ ডায়াবেটিস সাধারণত একটি অটোইমিউন রোগ, যেখানে শরীরের ইমিউন সিস্টেম ভুল করে ইনসুলিন উৎপাদনকারী বেটা কোষগুলোকে আক্রমণ করে এবং ধ্বংস করে। এটি মূলত জেনেটিক বা বংশগত কারণে হয়ে থাকে এবং সাধারণত শিশু বা কিশোর বয়সে বেশি দেখা যায়। অন্যদিকে, টাইপ ২ ডায়াবেটিস মূলত অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, স্থূলতা, এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে হয়। এটি সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দেখা যায় এবং শরীর ইনসুলিন উৎপাদন করতে সক্ষম হলেও ইনসুলিন ঠিকভাবে কাজ করে না (ইনসুলিন রেজিস্টেন্স)।
টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর পার্থক্য লক্ষণ এবং প্রভাবেও স্পষ্ট। টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত খুব দ্রুত ওজন হারান, অতিরিক্ত পিপাসা অনুভব করেন, ঘন ঘন প্রস্রাব করেন এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করেন। এটি হঠাৎ করেই শুরু হয় এবং দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে, টাইপ ২ ডায়াবেটিস ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোনো লক্ষণ নাও দেখা দিতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনি সমস্যা, স্নায়ুজনিত সমস্যা এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দিতে পারে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি, ক্ষুধা বৃদ্ধি পাওয়া এবং হাত-পায়ের ঝিনঝিন ভাব লক্ষ করা যায়।
চিকিৎসার দিক থেকেও টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর পার্থক্য রয়েছে। টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতিদিন ইনসুলিন নিতে হয়, কারণ তাদের শরীর কোনো ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য নয়, তবে ইনসুলিন থেরাপি এবং নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। অন্যদিকে, টাইপ ২ ডায়াবেটিস অনেকাংশে প্রতিরোধযোগ্য এবং নিয়ন্ত্রণযোগ্য। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং জীবনযাপনের পরিবর্তনের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিছু ক্ষেত্রে মুখে খাওয়ার ওষুধ বা ইনসুলিন প্রয়োজন হতে পারে।
টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর পার্থক্য বোঝার জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তাদের ঝুঁকিপূর্ণ কারণগুলো। টাইপ ১ ডায়াবেটিস মূলত জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে এবং পরিবারের কারও এই রোগ থাকলে ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া ভাইরাস সংক্রমণও এর কারণ হতে পারে। অন্যদিকে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে স্থূলতা, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব এবং বয়স ভূমিকা রাখে।
এছাড়া টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর পার্থক্য বোঝার জন্য তাদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা করা যেতে পারে। যদিও টাইপ ১ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় কারণ এটি একটি অটোইমিউন রোগ, তবে টাইপ ২ অনেকাংশেই প্রতিরোধযোগ্য। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন যেমন—পরিমিত খাবার খাওয়া, চিনি ও কার্বোহাইড্রেট নিয়ন্ত্রণ করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং মানসিক চাপ কমানো এগুলো টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
টাইপ ১ ডায়াবেটিস এর খাবার এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর খাবার
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সঠিক খাবার নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করে। টাইপ ১ ডায়াবেটিস এর খাবার পরিকল্পনায় শরীরের ইনসুলিনের অভাব পূরণে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার রাখা প্রয়োজন। অন্যদিকে, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর খাবার পরিকল্পনায় এমন উপাদান থাকতে হবে যা দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
উভয় প্রকারের ডায়াবেটিসে ফলের মধ্যে আপেল, কমলা, তরমুজ, নাশপাতি, বেরি, এবং পীচ অত্যন্ত উপকারী। শাকসবজির মধ্যে ফুলকপি, পালং শাক, শসা, এবং ব্রকলি রাখা যেতে পারে। গোটা শস্য, যেমন ওটস, কুইনো, এবং ব্রাউন রাইস, রক্তে শর্করা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও, বাদামের মধ্যে আখরোট, পেস্তা, কাজু, এবং বাদাম খাওয়া ভালো। পানীয় হিসেবে সবজির রস, পানি, কালো কফি এবং মিষ্টি ছাড়া চা গ্রহণ করা উচিত। স্বাস্থ্যকর চর্বি, যেমন জলপাই তেল, ক্যানোলা তেল এবং তিলের তেল ব্যবহার করা উপকারী।
টাইপ ১ ডায়াবেটিস এর খাবার পরিকল্পনায় ইনসুলিন ডোজ এবং শারীরিক কার্যকলাপের সঙ্গে মিল রেখে খাবারের পরিমাণ এবং সময় নির্ধারণ করা প্রয়োজন। অন্যদিকে, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর খাবার তালিকায় ফাইবারযুক্ত খাবার যোগ করে এবং নিয়মিতভাবে সঠিক পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
টাইপ ২ এবং টাইপ ১ ডায়াবেটিস চিকিৎসা
টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসা তাদের প্রকৃতির কারণে ভিন্নভাবে পরিচালিত হয়। টাইপ ১ ডায়াবেটিস সাধারণত একটি অটোইমিউন রোগ, যেখানে শরীর নিজেই ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। তাই এ ধরনের ডায়াবেটিসে রোগীদের প্রতিদিন ইনসুলিন ইনজেকশন বা ইনসুলিন পাম্প ব্যবহার করতে হয়। অন্যদিকে, টাইপ ২ ডায়াবেটিস সাধারণত জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসের সাথে সম্পর্কিত। এতে শরীর হয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না, নয়তো ইনসুলিন কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে না। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসা শুরু হয় স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। তবে, জটিল পরিস্থিতিতে ওষুধ বা ইনসুলিন থেরাপির প্রয়োজন হতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ এবং নিয়ম মেনে চলা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডায়াবিটে, আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এর জটিলতাগুলো কমাতেও কার্যকর। নার্ভের ব্যথা ও দুর্বলতা, কিডনির সমস্যা, ডায়াবেটিক ফুট, এবং রক্ত সঞ্চালনের জটিলতার মতো সমস্যা সমাধানে আমরা আধুনিক ও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত পদ্ধতির সমন্বয় করি। যেমন, ওজন থেরাপি (ওজন গ্যাস), আকুপাংচার, ডায়াবেটিক ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক এনার্জি, পালস ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড থেরাপি, এবং থেরাপিউটিক ব্যায়াম। এসব পদ্ধতি রোগীদের স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবন ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। প্রতিটি রোগীর জন্য ব্যক্তিগতকৃত এবং যত্নশীল সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা প্রদান করে থাকি।
বিস্তারিত জানুন: সেক্সে রসুনের উপকারিতা কি
বিস্তারিত জানুন: গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয়
বিস্তারিত জানুন: ডায়াবেটিস রেঞ্জ চার্ট ইন বাংলাদেশ
সাধারণ জিজ্ঞাসা
টাইপ ১ ডায়াবেটিস রোগীর আয়ু কত?
১৯৫০ থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যে টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের গড় আয়ু ছিল ৫৩.৪ বছর, whereas ১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে আক্রান্তদের গড় আয়ু ৬৮.৮ বছর ছিল। এটি ১৫ বছরেরও বেশি আয়ু বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয় (P < ০.০০০১)।
সুগারের মাত্রা কত হলে বুঝবেন ডায়াবেটিস?
রক্তে শর্করার স্বাভাবিক মাত্রা ১৪০ mg/dL এর কম হলে এটি স্বাভাবিক হিসেবে বিবেচিত হয়। যদি শর্করার মাত্রা ১৪০ mg/dL থেকে ২০০ mg/dL এর মধ্যে থাকে, তবে এটি প্রিডায়াবেটিস নির্দেশ করে, যা ভবিষ্যতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তবে, ২০০ mg/dL বা তার বেশি হলে, এটি ডায়াবেটিস থাকার সম্ভাবনা নির্দেশ করে এবং সঠিক চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
Dr. Saiful Islam, PT, is a Consultant Physiotherapist with expertise in Orthopedics. He holds a BPT from Dhaka University, an MPT, and a Postgraduate Certification in Acupuncture from India, with specialized training in Ozone Therapy.