যোগাযোগ করুন

০১৯৮৮৮৯৯৯৩৬

শনিবার -শুক্রবার

সকাল ৯টা - রাত ৯টা

বহুমূত্র রোগ কি? কোন হরমোনের অভাবে বহুমূত্র রোগ হয়?

বহুমূত্র রোগ কি? কোন হরমোনের অভাবে বহুমূত্র রোগ হয়?

আমাদের চারপাশে এমন কিছু রোগ নীরবে বাসা বাঁধে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনে। তেমনই একটি পরিচিত রোগ হলো বহুমূত্র রোগ, যা ডায়াবেটিস বা চিনি রোগ নামেও পরিচিত। কিন্তু বহুমূত্র রোগ কি? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকের কাছেই হয়তো অস্পষ্ট। শুধু তাই নয়, অনেকেই জানেন না কোন হরমোনের অভাবে বহুমূত্র রোগ হয়?

এই ব্লগ পোস্টে আমরা বহুমূত্র রোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। জানব এই রোগের মূল কারণ কী, কোন হরমোনের অভাব আমাদের শরীরে এই রোগের জন্ম দেয় এবং এর প্রাথমিক লক্ষণগুলোই বা কী কী।

বহুমূত্র রোগ কি? এবং বহুমূত্র রোগ কাকে বলে?

বহুমূত্র রোগ কি? এবং বহুমূত্র রোগ কাকে বলে?

বহুমূত্ররোগ বা ডায়াবেটিস মেলাইটাস হলো একটি গুরুতর, দীর্ঘমেয়াদি রোগ, যা তখন হয় যখন রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা দীর্ঘ সময় ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে। বহুমূত্র রোগের কারণ কি? অনেকেই জানে না। এর কারণ হতে পারে শরীর যথেষ্ট পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদন করতে না পারা অথবা উৎপাদিত ইনসুলিন কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে না পারা। এই রোগের প্রধান লক্ষণ হলো ঘন ঘন প্রস্রাব, অতিরিক্ত তৃষ্ণা ও ক্ষুধা। ডায়াবেটিস মূলত তিনটি প্রধান ধরনের: টাইপ ১, টাইপ ২ এবং গর্ভকালীন ডায়াবেটিস। টাইপ ১ ডায়াবেটিসে অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ ধ্বংস হয়ে যায় এবং ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, যা সাধারণত শিশু ও তরুণদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে দেহের কোষগুলো ইনসুলিনের প্রতি সাড়া দিতে ব্যর্থ হয় এবং সাধারণত ওজন বেশি ও কম কায়িকশ্রমের সাথে সম্পর্কিত। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস গর্ভাবস্থায় দেখা দেয়। চিকিৎসা না করালে ডায়াবেটিস থেকে হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি বিকলতা, স্নায়ু ও চোখের জটিলতা, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

বহুমূত্র রোগ কিসের অভাবে হয়?

বহুমূত্র রোগ কিসের অভাবে হয়?

বহুমূত্র রোগ কিসের অভাবে হয়? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হলো, ইনসুলিনের অভাবে। বহুমূত্র রোগ বা ডায়াবেটিস প্রধানত তখনই হয় যখন অগ্ন্যাশয় (pancreas) যথেষ্ট পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না অথবা উৎপাদিত ইনসুলিন শরীরের কোষগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না। ইনসুলিন হলো অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং শরীরের কোষগুলোকে গ্লুকোজ গ্রহণে সক্ষম করে তোলে। এই হরমোনটি রক্ত থেকে গ্লুকোজকে কোষের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়ে শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।

তাই, বহুমূত্র রোগ কিসের অভাবে হয়? এর মূল কারণ ইনসুলিনের ঘাটতি বা ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যাওয়া। যখন ইনসুলিনের অভাব হয়, তখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়, যা বহুমূত্র রোগ সৃষ্টি করে। এই অতিরিক্ত গ্লুকোজ প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হতে শুরু করে, ফলে ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসে এবং শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।

বহুমূত্র রোগের কারণ হিসেবে শুধু ইনসুলিনের অভাবই একমাত্র বিষয় নয়, তবে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। টাইপ ১ ডায়াবেটিসে, অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষগুলো (beta cells) ধ্বংস হয়ে যায়, যার ফলে শরীর আর ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। এটি সাধারণত অটোইমিউন প্রতিক্রিয়ার কারণে ঘটে। অন্যদিকে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসে, অগ্ন্যাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করলেও শরীরের কোষগুলো সেই ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা হারিয়ে ফেলে (ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স)। এর ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। এছাড়াও, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (gestational diabetes) গর্ভাবস্থায় কিছু হরমোনের পরিবর্তনের কারণে হতে পারে, যা ইনসুলিনের কার্যকারিতাকে বাধা দেয়।

বহুমূত্র রোগে কোন হরমোনের দরকার

বহুমূত্র রোগে কোন হরমোনের দরকার

বহুমূত্র রোগে কোন হরমোনের দরকার এই প্রশ্নের উত্তরটি গভীরভাবে বুঝতে হলে আমাদের ইনসুলিনের অপরিহার্যতা উপলব্ধি করতে হবে। বহুমূত্র রোগে কোন হরমোনের দরকার, তা জানার পূর্বে ইনসুলিনের উৎস এবং কার্যাবলী সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা খুবই জরুরী। ইনসুলিন হলো মানব দেহের অগ্ন্যাশয় নামক গ্রন্থির বিটা কোষ থেকে নিঃসৃত একটি অত্যাবশ্যকীয় হরমোন। এই হরমোনটি রক্তে উপস্থিত গ্লুকোজকে শরীরের বিভিন্ন কোষে প্রবেশ করতে সাহায্য করে, যা কোষের শক্তি উৎপাদনের জন্য জরুরি। শুধু তাই নয়, ইনসুলিন যকৃতে গ্লুকোজের উৎপাদন কমাতেও ভূমিকা পালন করে এবং অতিরিক্ত গ্লুকোজকে গ্লাইকোজেন রূপে সঞ্চিত করতে সাহায্য করে।

সুতরাং, বহুমূত্র রোগে কোন হরমোনের দরকার এই প্রশ্নের মূলে রয়েছে ইনসুলিনের অভাব অথবা ইনসুলিনের কার্যকারিতার অভাব। মূলত, বহুমূত্র রোগ তখনই শরীরে বাসা বাঁধে যখন অগ্ন্যাশয় পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদন করতে ব্যর্থ হয় (টাইপ ১ ডায়াবেটিস) অথবা যখন শরীরের কোষগুলো উৎপাদিত ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা হারিয়ে ফেলে (টাইপ ২ ডায়াবেটিস)। এছাড়াও, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য ধরনের ডায়াবেটিসেও ইনসুলিনের অভাব বা কার্যকারিতা হ্রাস একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

বহুমূত্র রোগে কোন হরমোনের দরকার এই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে যখন আমরা দেখব ইনসুলিনের অভাবে শরীরে কী ঘটে। যখন রক্তে ইনসুলিনের অভাব দেখা দেয়, তখন গ্লুকোজ রক্তেই জমা হতে শুরু করে এবং কোষগুলোতে প্রবেশ করতে পারে না। এর ফলে কোষগুলো প্রয়োজনীয় শক্তি থেকে বঞ্চিত হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এই উচ্চ মাত্রার শর্করা প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে, যা ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ হয় এবং শরীরকে পানিশূন্য করে তোলে। বহুমূত্র রোগের এই মূল প্রক্রিয়াটিই প্রমাণ করে যে, বহুমূত্র রোগে কোন হরমোনের দরকার এবং সেই হরমোনটি হলো ইনসুলিন। ইনসুলিনের সঠিক কার্যকারিতা এবং পর্যাপ্ত নিঃসরণ ছাড়া রক্তের শর্করাকে স্বাভাবিক মাত্রায় রাখা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

বহুমূত্র রোগ থেকে বাচার উপায়

বহুমূত্র রোগ থেকে বাচার উপায়

বহুমূত্র রোগ থেকে বাচার উপায় গুলো কি কি? এই রোগের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন গুলো জেনে নেই-

১. সুষম খাদ্য গ্রহণ
বহুমূত্র রোগ থেকে বাচার উপায়ের অন্যতম প্রধান শর্ত হলো সুষম খাদ্য গ্রহণ। গোটা শস্য, আঁশযুক্ত খাবার, চর্বিহীন প্রোটিন, শাকসবজি ও ফলমূল খাদ্যতালিকায় রাখুন। সাদা চাল, ময়দার রুটি, মিষ্টি, ফাস্ট ফুড, কোমল পানীয়, অতিরিক্ত লবণ ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রতিটি বেলার খাবার সময়মতো খান এবং একবারে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খান।

২. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিনি জাতীয় খাবার যেমন সাদা চাল, ময়দার রুটি, মিষ্টি ইত্যাদি কম খান। আঁশযুক্ত খাবার বেশি রাখলে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সহজ হয়।

৩. নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট মাঝারি বা উচ্চমাত্রার ব্যায়াম করুন। হাঁটা, সাঁতার, সাইক্লিং, বা খেলাধুলার অভ্যাস গড়ে তুলুন। যারা অফিসে দীর্ঘ সময় বসে কাজ করেন, তারা প্রতি ঘণ্টায় কিছুক্ষণ হাঁটুন বা শরীর সচল রাখুন।

৪. ওজন নিয়ন্ত্রণ

স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা বহুমূত্র রোগ থেকে বাচার উপায় হিসেবে অত্যন্ত কার্যকর। অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়াম করুন।

৫. তামাক ও অ্যালকোহল পরিহার
তামাকের ব্যবহার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়, তাই ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন। অ্যালকোহলও রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে, তাই সতর্ক থাকুন।

প্রি-ডায়াবেটিস ও দ্রুত শনাক্তকরণ

যদি প্রি-ডায়াবেটিস ধরা পড়ে, তাহলে দ্রুত জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা পরীক্ষা করুন। পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকলে আরও সচেতন থাকুন এবং আগেভাগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণ

চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণ

টাইপ ১ ডায়াবেটিসের জন্য ইনসুলিন ব্যবহার করা প্রয়োজন হতে পারে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে প্রয়োজনে ইনসুলিন বা অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং পা ও চোখের যত্ন নেওয়া জরুরি।

মানসিক স্বাস্থ্য ও সচেতনতা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে মানসিক চাপ কমানো, পর্যাপ্ত ঘুম এবং ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার ও সমাজে সচেতনতা বাড়ানো এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রচার করা দরকার।

ডায়াবিটে চিকিৎসা কেন নিবেন?

ডায়াবিটে চিকিৎসা কেন নিবেন?

আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতি ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা দূর করার জন্য একটি আধুনিক, কার্যকর এবং বৈজ্ঞানিক সমাধান প্রদান করে। আমরা নার্ভের ব্যথা ও দুর্বলতা, কিডনি সমস্যা, বহুমূত্র রোগ বা ডায়াবেটিস মেলিটাস, ডায়াবেটিক ফুট, এবং রক্ত সঞ্চালনের জটিলতার মতো সমস্যার উন্নত চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি। আমাদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় ওজন থেরাপি (ওজন গ্যাস), আকুপাংচার, ডায়াবেটিক ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক এনার্জি, পালস ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড থেরাপি এবং থেরাপিউটিক ব্যায়ামের মতো বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত পদ্ধতি। এই আধুনিক ও সমন্বিত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো ডায়াবেটিসের জটিলতা কমিয়ে রোগীদের স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে সাহায্য করে। প্রতিটি রোগীর জন্য আমরা ব্যক্তিগতভাবে মূল্যায়ন করে যত্নসহকারে চিকিৎসা প্রদান করি, যাতে তারা পান সর্বোচ্চ মানের স্বাস্থ্যসেবা।

 

বিস্তারিত জানুন: কোন হরমোনের অভাবে ডায়াবেটিস রোগ হয়?

বিস্তারিত জানুন: ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি খাওয়া উচিত ও এটির জন্য কোন ডাক্তার দেখাবো?

বিস্তারিত জানুন: টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর পার্থক্য

 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস (ডিআই) একটি এমন শারীরিক অবস্থা, যেখানে অতিরিক্ত পরিমাণে পানির মতো পাতলা প্রস্রাব হয় এবং তৃষ্ণা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এই অবস্থায় একজন ব্যক্তি দিনে প্রায় ২০ লিটার পর্যন্ত প্রস্রাব করতে পারে। শরীর থেকে এত তরল বেরিয়ে গেলেও প্রস্রাবের ঘনত্বে খুব একটা পরিবর্তন দেখা যায় না। ডায়াবেটিস ইনসিপিডাসের জটিলতার মধ্যে ডিহাইড্রেশন (জলশূন্যতা) এবং খিঁচুনি দেখা দিতে পারে।

নেফ্রোজেনিক ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস বা এনডিআই তখন ঘটে যখন কিডনি স্বাভাবিক পরিমাণে থাকা ADH (অ্যান্টিডাইরেটিক হরমোন)-এর প্রতি সঠিকভাবে সাড়া দিতে পারে না। এটি সাধারণত জেনেটিক মিউটেশন, কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ (যেমন লিথিয়াম) অথবা কিডনির রোগের কারণে হয়ে থাকে। যদিও শরীরে ADH-এর পরিমাণ ঠিক থাকে, তবুও কিডনি প্রস্রাবকে ঘনীভূত করতে ব্যর্থ হয়। ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে প্রস্রাব হয় এবং তীব্র তৃষ্ণা লেগেই থাকে।

ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস এবং ডায়াবেটিস মেলিটাসের মধ্যে মূল পার্থক্য তাদের কারণ ও প্রভাবের মধ্যে। ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস শরীরের পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে ADH হরমোনের ভূমিকার সাথে সম্পর্কিত, অন্যদিকে ডায়াবেটিস মেলিটাস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতার উপর নির্ভর করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top